শিক্ষক হিসেবে তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তি দাবী করছি

পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের ৪৫ নং ওদনকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মিতালী খানমকে আজ বেলা আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ের চত্তরে বসে বেদম প্রহার করেন দুই মহিলা ছাত্র অভিভাবক। 
শিক্ষিকা মিতালী খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ঘটনার বিবরণে যানা যায়, আজ বিদ্যালয়ের ২য় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা হয়। শিক্ষিকা মিতালী খানম প্রথম শ্রেণির ফলাফল বিবরণী বিতরণ করেন। এই সময় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী জেনি আক্তারের ফলাফল বিবরণী গ্রহণ করেন ছাত্রীর অভিভাবক শিমু খানম। ফলাফল দেখেই শিমু খানম বিবরণীটি ছিড়ে ফেলেন। এই সময় ঐ শিক্ষিকা তার কাছে ফলাফল বিবরণী ছিড়ে ফেলার কারণ জানতে চাইলে তিনি ঐ শিক্ষিকার উপর চড়াও হন। শিমু খানম প্রথমে শিক্ষিকার চুল ধরে এলোপাথারি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে
থাকে। এখানেই শেষ নয় ঐ অভিভাবক ও তার এক সহযোগী মাহামুদা মিলিত হয়ে তাকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকরা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। শিক্ষিকা মিতালী খানম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পিরোজপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। খবর পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ সংবাদ কর্মিরা তাকে দেখার জন্য হাসপাতালে ভীর করেন। তারা সকলে এর সুস্থ বিচার দাবী করেন। 
পুলি ঘটনা শুনেছেন এবং অভিযোগ দিতে বলেছেন । এর পরেই তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 
পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র জনাব হাবিবুর রহমান মালেক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং দোষীদের শাস্তি দাবী করেছেন।

No comments:

Post a Comment