প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও কৌশল

শিশুদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগে শিশুর অন্তর্নিহিত অপার বিস্ময়বোধ, অসীম কৌতুহল, আনন্দবোধ ও অফুরন্ত উদ্যমের মতো সর্বজনীন মানবিক বৃত্তির সুষ্ঠু বিকাশ এবং প্রয়োজনীয় মানসিক ও দৈহিক প্রস্তুতিগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। তাই তাদের জন্য বিদ্যালয়-প্রস্তুতিমূলক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। অন্যান্য শিশুর সঙ্গে একত্রে এই প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা শিশুর মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। তাই জাতীয়
শিক্ষানীতি ২০১০ এ প্রাথমিক শিক্ষা শুরুর পূর্বেই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হবে। পরবর্তীকালে এটি চার বছর বয়স থেকে দুই বছর মেয়াদে সম্প্রসারিত করা হবে। 
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যসমূহ নিম্নরূপ:
  • শিক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ সৃষ্টি এবং সুকুমারবৃত্তি অনুশীলনে শিশুদের উৎসাহী করে তোলা।
  • দলগতভাবে কাজকর্ম ও সহপাঠীদের প্রতি সহনশীলতা এবং পরবর্তী আনুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য শৃঙ্খলাবোধ সম্পর্কে ধারণা লাভ।
এই লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে নিম্নলিখিত কৌশল অবলম্বন করা হবে:
  • অন্যান্য গ্রহণযোগ্য উপায়ের সঙ্গে ছবি, রং, নানা ধরনের সহজ আকর্ষণীয় শিক্ষা উপকরণ, মডেল, হাতের কাজের সঙ্গে ছড়া, গল্প, গান ও খেলার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা।
  • শিশুদের স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসা ও কৌতূহলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাদের স্বাভাবিক প্রাণশক্তি ও উচ্ছ্বাসকে ব্যবহার করে আনন্দময় পরিবেশে মমতা ও ভালোবাসার সঙ্গে শিক্ষা প্রদান করা।
  • মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সকল ধর্মের শিশুদেরকে ধর্মীয় জ্ঞান, অক্ষরজ্ঞান সহ আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদানের কর্মসূচি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে।
  • প্রাক প্রাথমিক স্তরে শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে যেন তারা কোনোভাবেই কোনোরকম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার না হয়।                            [সংগৃহীত]   

মূল লেখাটি এখানে

No comments:

Post a Comment