আসসালামু আলাইকুম। ঈদ মোবারক। ঈদ-উল-ফিতরের আমেজ কাটতে না কাটতে আপনাদের সামনে আমি আবারো হাজির হলাম আমার মনের এলোমেলো কথা গুলো বলার জন্য। জানিনা কতটা গুছিয়ে বলতে পারব। তবে আমার বিশ্বাস আপনার আমার চেয়ে হাজার গুন প্রজ্ঞাবান তাই আমার এলোমোলো কথাগুলো আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হবে না। তবে একটাই অনুরোধ দয়া করে পোষ্টটি পড়বেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আমরা যাঁরা শিক্ষকতা করছি, তাঁরা সবাই পুরুষ হলে কমপক্ষে স্নাতক পাশ এবং মহিলা হলে কমপক্ষে এসএসসি পাশ। সেইসাথে পেশাগত যোগ্যতা; সি-ইন-এড, ডিপি-এড, বি-এড, এম-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিগত ১০/১৫ বছরে যাঁরা শিক্ষকতায় এসেছেন, তাঁদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চতর শিক্ষাগত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আমরা যাঁরা শিক্ষকতা করছি, তাঁরা সবাই পুরুষ হলে কমপক্ষে স্নাতক পাশ এবং মহিলা হলে কমপক্ষে এসএসসি পাশ। সেইসাথে পেশাগত যোগ্যতা; সি-ইন-এড, ডিপি-এড, বি-এড, এম-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিগত ১০/১৫ বছরে যাঁরা শিক্ষকতায় এসেছেন, তাঁদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চতর শিক্ষাগত
যোগ্যতা অর্জনসহ তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা লাভ করে এসেছেন। আবার, তাঁদের একটা অংশ বিদ্যালয়ের সাবির্ক কাযর্ক্রমে চৌকশ এবং অতি উচ্চ মানের শিক্ষকতা করার সক্ষমতা সম্পন্ন। কিন্তু, এমন শিক্ষক খুব কম দেখতে পাই যে, যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষাক্রমসহ অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং প্রয়োগিক দক্ষতাকে কাজে লাগাচ্ছেন। সেটা, বিষয় জ্ঞানই হোক বা প্রায়োগিক অথবা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানই হোক। নেই বিদ্যালয়ে এর প্রভাব, নেই শ্রেণিকক্ষেও এর কোন প্রভাব। আছে, পিটিআই গেইটে ও কেতাবে।
বাস্তবতা হলো; বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যা করছেন, অন্যান্য চাকুরির মত একটি চাকুরি। কিন্তু, সে রকম মোটেই হওয়ার কথা ছিল না। আমরা অনেক কষ্টে আছি, অনেক পরিশ্রম করি, অনেক রকম সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা করি; এটা অনস্বীকার্য। কিন্তু, বর্তমান যুগোপযেগি এবং একবিংশ শতাব্দীর উপযোগি শিক্ষার্থী গড়ে তোলার জন্য যতটা প্রয়োজন, তা আশানুরূপ হচ্ছে কি? আমাদের অধিকাংশেরই আরও সক্রিয় এবং আন্তরিক হয়ে দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা অপরিহার্য।
আগামি দিনকে সামনে রেখে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কমর্রত শিক্ষকগণ নিন্মোক্ত কিছু প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কাজ করতে পারি। তাহলে, হয়তো আমাদের বদনামগুলো ধীরে ধীরে মুছে যাবে। আমরা সবাই বদলে যাব, উত্তম শিক্ষক হব।
- প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মানসম্মত পড়াশোনায় পারদর্শী করে তুলব।
- প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ও এর বৈশিষ্ট্যসমূহ পড়ে বুঝে নেব।
- পাঠ্য বইগুলো ভালভাবে অধ্যয়ন করে আয়ত্ত করে নেব এবং যত্নসহকারে পাঠদান করাব।
- বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য একটি সুন্দর ও কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহন করব। পরিকল্পনাটিতে থাকবে, পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি, শ্রেণি রুটিন, বিষয় ভিত্তিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, লেসন-প্লান স্টাডি, উপকরণ তৈরি, সংগ্রহ ও ব্যবহার নির্শিকা প্রভৃতি।
- প্রত্যেক শিশুকে তার নিজ নিজ দক্ষতা অনুযায়ী কোন না কোন বা অন্তত একটি সৃজনশীল কাজে দ্ক্ষ করে তুলব।
- সহ-পাঠক্রমিক কাজগুলো নিয়মিত ও সারা বছর অনুশীলণ করাব।
- সকল শিশুর নিরাপদ ও আনন্দদায়ক শিখন নিশ্চিত করব।
- স্থানীয় ও জাতীয় ক্ষেত্রে আয়োজিত প্রতিটি প্রতিযোগিতায় শিশুদের অংশগহন নিশ্চিত করব। খেলা-ধুলা বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোতেও অংশগ্রহন করাব।
- বিদ্যালয়ের সকল তথ্য ও রেকর্ড-রেজিস্টারগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও হালফিল করে নেব।
- সবদিক গুছিয়ে নেব এবং বিদ্যালয়কে কাংখিত মানে উন্নীত করার জন্য সর্বাত্নক আন্তরিক প্রচেস্টা চালাব।
- উপবৃত্তি বিতরণ প্রক্রিয়া, মিড-ডে মিল, বিদ্যালয় মেরামত-সংস্কার, ভবন নির্মাণ-পুণনির্মাণসহ সকল কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করব।
- এলাকাবাসি, এসএমসি, পিটিএ-সহ স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলকে বিদ্যালয়ের কাজে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করাব।
- সর্বোপরি, বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সতর্ক হব।
No comments:
Post a Comment