আমি জানি আমার এই লেখা পড়ে নেতা গোছের শিক্ষক বন্ধুরা আমার উপর নিশ্চয়ই চড়াও হবেন। কিন্তু বলে রাখছি ভাই আমার একার উপর চড়াও হয়ে কোন লাভ নেই। আমি এখন যে কথাগুলো বলব সেগুলো আমার একার কথা নয়। এই বাংলার সকল সাধারণ সহকারি শিক্ষকদের কথা। আমি অস্বিকার করছি না যে, আজ পর্যন্ত শিক্ষকদের জন্য যা কিছু হয়েছে যেটুকু অর্জন করেছে তার সবটুকুর জন্যই প্রাথমিক শিক্ষকরাই কৃতিত্ত্বের দাবীদার। কারণ এই বাংলায় একমাত্র জাতীর জনক ছাড়া আর কেউই প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য স্বেচ্ছায় কিছু
করেননি। আমি যতদুর জানি স্বাধীনতার পর থেকে ৪২ বছর ধরেই সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের মাধ্যমে ছোটখাট কিছু দাবি আদায়ও হয়েছে। যেটুকু হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে শিক্ষকদের একতার কারনে।
বর্তমানে এই চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে। শিক্ষক সংগঠনের নামে ব্যাংঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন। যারা সাধারণ শিক্ষদের নিয়ে কাজ করার পরিবর্তে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এই চিত্র উপজেলা লেবেল থেকে একেবারে কেন্দ্রিয় পর্যায় পর্যন্ত বিদ্যমান। আমি আপনাদের সামনে এই চিত্র তুলে ধরছি না। কারণ আমরা জাতী হিসেবে এমনই। যে যেমন করে পারছি নিজের জন্য করে যাচ্ছি। আমিও এর ব্যতিক্রম নই।
১৯৭৩ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ছিল ১২০ টাকা। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের বেতন স্কেলের সরকারী ঘোষণায় বলা হয়, ‘যাদের বেতন সর্বনিম্ন ১১০ টাকা তারা অষ্টম গ্রেডে (২২০-৪৪০) টাকা স্কেলের বেতন পাবেন। এ ঘোষণা মতে, ১১০ টাকা বেতনভুক্ত সরকারি কর্মচারীরা অষ্টম গ্রেড ২২০ থেকে ৪৪০ টাকা স্কেলে বেতনভাতা পেলেও ১২০ টাকা বেতনভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় নবম গ্রেড ১৪৫ থেকে ২৭৫ টাকার স্কেলটি। যাকে ইতিহাসে প্রাথমিক শিক্ষদের প্রথম বেতন বৈষম্য বলা যায়। কারণ তখন সরকারি অফিসে সহকারীদের বেতন ছিল ১১০ টাকা এবং এরাই অষ্টম গ্রেডে ২২০ থেকে ৪৪০ টাকা স্কেলের বেতন পেলেন। আর আমরা শিক্ষকরা তাদের চেয়ে ১০ টাকা বেতন বেশি পেয়ও নতুন স্কেলে তাদের চেয়ে ৭৫ টাকা কম পেলাম। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তখনো সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকরা এবং এক পর্যায়ে তাদের একতার কারণে এই বৈষম্য দূর হয়।
কিন্তু আজ কি হলো আমাদের মাঝে। আমাদের স্বজাতী প্রধান শিক্ষদের সাথে বৈষম্য শুরু হয়েছে (৯/০৩/২০১৪ থেকে) প্রায় আড়াই বছর অতিবাহিত হতে চলল। এখনো পর্যন্ত এর কোন সুরহা তো হলইনা আর ভবিষ্যতেও হবে বলে আমি কেন কারো মনে হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ এত বেশি সংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংগঠন দ্বারা ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি হলেও বৃহত্তর স্বার্থ উদ্ধার হবে বলে আশা করাটা বোকামী বৈ কিছুই নয়। আর এই কারণেই আমাদের এ বৈশম্য ধারন করতে হবে যুগ যুগান্তর।
করেননি। আমি যতদুর জানি স্বাধীনতার পর থেকে ৪২ বছর ধরেই সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের মাধ্যমে ছোটখাট কিছু দাবি আদায়ও হয়েছে। যেটুকু হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে শিক্ষকদের একতার কারনে।
![]() |
একতাই শক্তি |
১৯৭৩ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ছিল ১২০ টাকা। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের বেতন স্কেলের সরকারী ঘোষণায় বলা হয়, ‘যাদের বেতন সর্বনিম্ন ১১০ টাকা তারা অষ্টম গ্রেডে (২২০-৪৪০) টাকা স্কেলের বেতন পাবেন। এ ঘোষণা মতে, ১১০ টাকা বেতনভুক্ত সরকারি কর্মচারীরা অষ্টম গ্রেড ২২০ থেকে ৪৪০ টাকা স্কেলে বেতনভাতা পেলেও ১২০ টাকা বেতনভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় নবম গ্রেড ১৪৫ থেকে ২৭৫ টাকার স্কেলটি। যাকে ইতিহাসে প্রাথমিক শিক্ষদের প্রথম বেতন বৈষম্য বলা যায়। কারণ তখন সরকারি অফিসে সহকারীদের বেতন ছিল ১১০ টাকা এবং এরাই অষ্টম গ্রেডে ২২০ থেকে ৪৪০ টাকা স্কেলের বেতন পেলেন। আর আমরা শিক্ষকরা তাদের চেয়ে ১০ টাকা বেতন বেশি পেয়ও নতুন স্কেলে তাদের চেয়ে ৭৫ টাকা কম পেলাম। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তখনো সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকরা এবং এক পর্যায়ে তাদের একতার কারণে এই বৈষম্য দূর হয়।
কিন্তু আজ কি হলো আমাদের মাঝে। আমাদের স্বজাতী প্রধান শিক্ষদের সাথে বৈষম্য শুরু হয়েছে (৯/০৩/২০১৪ থেকে) প্রায় আড়াই বছর অতিবাহিত হতে চলল। এখনো পর্যন্ত এর কোন সুরহা তো হলইনা আর ভবিষ্যতেও হবে বলে আমি কেন কারো মনে হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ এত বেশি সংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংগঠন দ্বারা ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি হলেও বৃহত্তর স্বার্থ উদ্ধার হবে বলে আশা করাটা বোকামী বৈ কিছুই নয়। আর এই কারণেই আমাদের এ বৈশম্য ধারন করতে হবে যুগ যুগান্তর।
ধন্যবাদ সকলকে আমার এই লেখাটি কষ্ট করে সময় নিয়ে পড়ার জন্য। এ বিষয়ে কমেন্ট বক্সে আপনাদের সু-চিন্তিত মতামত কামনা করছি। আবারো ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
No comments:
Post a Comment